অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে এই অভিযান চালানো হয়।
দুদকের হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যর একটি টিম এ অভিযান চালায়।
সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে হাসপাতালের রান্নাঘরে অনিয়ম, রোগীদের খাবার কম দেওয়া, চিকিৎসকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও সঠিক সময়ে হাসপাতালে না আসা, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, হাসপাতালে সুযোগ থাকার পরেও বেসরকারি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগ নির্ণয় পরীক্ষার জন্য চাপ প্রয়োগসহ ইত্যাদি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নামে দুদক টিম।
জানা যায়, দুদকের প্রতিনিধি দল হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা, ওষুধ, তালিকা অনুযায়ী খাবারের মান এবং নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে।
অভিযান শেষে দুদক হবিগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালক এরশাদ মিয়া বলেন, ‘মূলত বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করে যাচাই করে দেখলাম, হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। খাবারের মেনুও সঠিক রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘বিশেষ করে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, হাসপাতালের নিয়োগ প্রদান নিয়ে। এখানে কোনও আউটসোর্সিং বা অভ্যন্তরীণ কোনও নিয়োগ হয়নি। আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল, এখানে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। অথচ আমরা এখানে অভিযানকালে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করে দেখলাম, এ ধরণের কোনও নিয়োগই হয়নি। এ ছাড়াও হাসপাতালের বর্হির্বিভাগে ওষুধও ঠিকমতো রোগীদের প্রদান করা হচ্ছে।’
দুদকের অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দুদকের টিম আসার খবর অনেক আগেই হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা অবগত ছিলেন তাই তারা নথিপত্র ক্রটি থাকলেও সেটি শুদ্ধ করে রেখেছেন। কিছু নথিপত্রও খুঁজেও দেখেনি দুদক। এসব তদন্ত হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে গোপনে কাজ করলে সত্যতা অনেক পাওয়া যেতো। যদি এসব বিষয়ে দুদক নিয়মিত ফলোআপে রাখে তাহলেও হাসপাতালের দুর্নীতির চিত্র একেবারেই কমে যাবে।