জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা দেশের সব পর্যায়ের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনছি। সারা দেশে দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট খেটে খাওয়া এসব মানুষের অবস্থা নাভিশ্বাস করে তুলছে। খেটে খাওয়া মানুষরা যে আয় করেন তা দিয়ে সংসার চলে কিনা তা জানার চেষ্টা করছি। মানুষের চাওয়া-পাওয়ার ওপর ভিত্তি করেই আগামীতে এনসিপি ইশতেহার ঘোষণা করবে।’
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে বৈরী আবহাওয়ার মাঝে গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলা সফরের শুরুতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্তায় আয়োজিত পথসভার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমরা আগামীর বাংলাদেশে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে কোনও দল ও মার্কার দালালি-দ্বাসত্ব প্রত্যাশা করি না। বিগত সময়ে প্রশাসন দালালি করেছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা এবং তাদের সন্তান মানুষের সামনে আশার মতো অবস্থা ছিল না। সে কারণে তোষামদি চর্চা তাদের মানায় না। আমরা চাই, আগামীতে দল বা মার্কা দেখে ভোট নয়। যিনি ভালো মানুষ এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন এমন মানুষকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন।’
গাইবান্ধা জেলা দীর্ঘদিন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার কথা তুলে ধরে সারজিস আলম বলেন, ‘এই জেলায় শিক্ষা, স্বাস্থ্যর উন্নয়নের পাশাপাশি অন্যতম দাবি হচ্ছে গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড বাস্তবায়ন। ইপিজেড বাস্তবায়ন হলে গাইবান্ধার জেলার ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে ইপিজেড হওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে হবে। ইপিজেড বাস্তবায়নে যদি রাজনৈতিক দলের নেতাদের কোন্দল বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করবেন। সবার আগে জেলা-উপজেলার এবং মানুষের স্বার্থরক্ষায় আমাদের কাজ করতে হবে। তাহলে গাইবান্ধা জেলা এগিয়ে যাবে।’
উত্তরাঞ্চল কৃষিপ্রধান এলাকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উত্তরের কৃষককে সিন্ডিকেট করে জিম্মি করা হয়। কৃষকের ফসল রাখার মতো পর্যাপ্ত হিমাগার নেই। অল্প যা কিছু হিমাগার আছে সেখানেও সিন্ডিকেটের কারণে কৃষকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। উত্তরাঞ্চলকে নিয়ে কৃষিতে একটি মডেল রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।’
পথসভায় সারজিস আলম ছাড়াও আরও বক্তব্য দেন– এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু, নাজমুল হাসান সোহাগ, সদস্য ফিহাদুর রহমান দিবস।
এ পথসভা ও গণসংযোগে অংশ নেন এনসিপির গাইবান্ধা জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।