চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৬ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালতের বিচারক এস এম আলাউদ্দীন এ আদেশ দেন।
এর আগে এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় গত ৪ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর জোনের সহকারী কমিশনার মোস্তফা কামাল চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, ‘কোতয়ালি থানার একটি ভাঙচুর মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে আগামী ২২ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন।’
গত ২৯ নভেম্বর নিহত আইনজীবী আলিফের ভাই খানে আলম আইনজীবীদের ওপর হামলা, বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। এর কয়েকদিন পর গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়।
পরে ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন চিন্ময়। এ ঘটনায় আলিফের বাবা বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।