চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ১০ জনকে চান্দগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৫ জুন) চট্টগ্রামের চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তফা শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
শ্যোন অ্যারেস্ট মঞ্জুর হওয়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ বাচ্চু, সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, এমরান, জিনাত সোহানা চৌধুরী, মো. আকবর আলী, রেজাউল হাসান সবুজ ও মো. আবুল বশর।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় নিয়ে নিহতের ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের আমলের তিন জন এমপি ও নেতাকর্মীসহ মোট ১৫ জনের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত ১০ জনের শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’
আদালত সূত্র জানিয়েছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৫ জনের গ্রেফতার আবেদন করেন। যার মধ্যে ১০ জন আসামি শুনানিতে অংশ নেন। এ বি এম ফজলে করিমকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে যুক্ত করা হয়। বাকি ৯ জন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।
মামলার বাদী একজন অটোরিকশা চালক। তার ছোট ভাই মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ গত বছরের ৩ আগস্ট সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকার কাঁচা বাজার থেকে বাসায় ফিরছিলেন। পথে সড়ক অবরোধ করে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি চালান। ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে গুলিবিদ্ধ হন শহিদুল ইসলাম। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ১৯ আগস্ট চান্দগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।