বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলামের বাসা থেকে ১২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে আটকদের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠান। তাদের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী ‘গোপন বৈঠক’ করার অভিযোগ উঠেছে।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন- বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল গাজী, ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মন্টু খান, বার্থী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহ-সম্পাদক কাইয়ুম খান, ইউনিয়ন যুবদল কর্মী এনায়েত হোসেন, জাফর খান, সাইফুল ইসলাম, রেজাউল মোল্লা ও সামিউল বেপারী এবং ইউনিয়ন ছাত্রদল কর্মী আকাশ খন্দকার, মুন্ন্না আহম্মেদ ও ইখতিয়ার তালুকদার।
গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলালউদ্দিন বলেন, সরকারবিরোধী বৈঠক হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (৪ জুলাই) রাতে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১২ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। সকালে তাদের বিরুদ্ধে থানার এসআই আব্দুল হক বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান।
এদিকে থানায় বসে বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করছিলাম। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন প্যাদার নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আমাকেসহ সাত জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে ১২ জনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন প্যাদা। তিনি কোনও হামলা চালাননি বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ওই বাড়িতে সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক থেকে পুলিশ তাদের আটক করে মামলা দিয়েছে।
