আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড কোনও পরিবারতান্ত্রিক ছিল না, ব্যক্তিকেন্দ্রিক ছিল না। এটি ছিল স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সারা বিশ্ব মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমরা যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করি সেসব দেশ আজ বিপন্ন। এজন্য জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির সুযোগে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে বিএনপি। তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না।’
বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকালে ঝালকাঠি শহরের সাধনার মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এদেশে বিএনপির জন্ম হয়েছে’ উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, একের পর এক হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বিএনপি এদেশে আবারও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি পুনরুদ্ধার করতে চায়। তারা কোনোদিন দেশের মঙ্গল চায় না। কোনোদিন দেশের উন্নয়নকে ভালো চোখে দেখে না। তারা দেশের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রের লিপ্ত।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে ৪০ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহু পরিশ্রম করে দেশকে সেই জায়গায় আনতে শুরু করেছেন। ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্র আজও অব্যাহত আছে। তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। বিএনপি ১৭ আগস্ট সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হলো না, বিচার হলো না। এখন আবারও ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে তারা। বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সদস্য সুমাইয়া হোসেন অদিতি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির।