X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড়ে ভোলার লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, ৬ হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত

আহাদ চৌধুরী তুহিন, ভোলা
২৫ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৩৯আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৩৯

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলায় ছয় হাজারের বেশি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার কাঁচা ও আধাপাকা বাড়ি এবং প্রায় পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় গাছচাপা পড়ে ও পানিতে ডুবে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলার এসব ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘জেলার সাত উপজেলার ঘরবাড়ি কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চরফ্যাশন, মনপুরা ও তজুমদ্দিন উপজেলার মানুষ। এসব উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা বেশি। পুরো জেলার লক্ষাধিক মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ছয় হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ সংখ্যা বাড়তে হবে। ঝড়ের সময় চার জনের মৃত্যু হয়েছে।’

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, ‘উপজেলায় হাজারের বেশি ঘরবাড়ি আংশিক ও পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। এ সংখ্যা বাড়তে পারে।’

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর    বলেন, ‘সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝড়ে আমন ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও ধানগাছ শুয়ে পড়েছে। তবে জেলায় কি পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু করেছি আমরা। দু’একদিনের মধ্যে সঠিক তথ্য জানা যাবে।’

এদিকে, ভোলা শহরে মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে বিদ্যুৎ এলেও ঘণ্টাখানেক পর চলে যায়। এরপর থেকে যাওয়া-আসার মধ্যে আছে। এর আগে রবিবার রাত ২টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। টানা ২৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল জেলার মানুষ।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় গাছচাপা পড়ে ও পানিতে ডুবে চার জনের মৃত্যু

অপরদিকে, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। তবে কতজন মাছ চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তা জানাতে পারেনি জেলা মৎস্য বিভাগ।

এর আগে সোমবার জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন কয়েক হাজার মানুষ। মঙ্গলবার সকালে তারা বাড়ি ফিরেছেন। শহরের তুলাতলী এলাকার নেকু বিবি ও বিবি ফাতেমা আক্তার জানান, ঝড়ে আমাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা অনেক কষ্টে আছি। রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।

ধনিয়া তুলাতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন আমিরুন নেছা (৭৫), আছিয়া বেগম (৩৫) ও কুলসুম (২৯)। তারা জানান, আমরা রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। আবহাওয়া অনেকটা ভালোর দিকে। তাই পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।

জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন, ‘ঝড়ে বিভিন্ন বিভাগের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা করছে উপজেলা প্রশাসন। তালিকা পেলে তাদের সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।’

/এএম/
সম্পর্কিত
বাবার সঙ্গে অভিমান করে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার অভিযোগ
তামাক কর বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ তরুণের অকালমৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব
দক্ষিণখানে ভবনের চার তলা থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
সর্বশেষ খবর
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা