বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশের আগেই শ্রমিকলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আট নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে উজিরপুর উপজেলার শানুহার বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন—উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কাইয়ুম খান, শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠু বালী, পৌর মহিলা দলের সম্পাদক মনিরা আক্তার শিখা, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদা আক্তার, থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাহিন শিকদার, যুবদল নেতা ইয়াসিন ঢালী, শোলক ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আকরাম হোসেন ভুলু সরদার ও ছাত্রদল নেতা অনিক।
থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাহিন শিকদার বলেন, ‘আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করবেন। কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দকে অভ্যর্থনা জানাতে সোমবার দুপুরে নেতাকর্মীরা উপজেলার শানুহার বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শিপন মোল্লার নেতৃত্বে শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসে মিছিল শুরু করেন। পরে শিপন মোল্লা ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দীন সরদারের নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের আট নেতাকর্মী আহত হন।’
সাহিন শিকদার অভিযোগ করেন, ‘আমাদের ওপর হামলার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। একপর্যায়ে ওই স্থান থেকে আমাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। পরে আমরা চলে আসি।’
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দীন সরদার বলেন, ‘মিথ্যা কথা বলা বিএনপির মুদ্রাদোষে পরিণত হয়েছে। আমরা তাদের ওপর হামলা চালাইনি।’
উজিরপুর মডেল থানার ওসি এসএম কামরুল হাসান বলেন, ‘সানুহার বাসস্ট্যান্ডে হামলার ঘটনা ঘটেনি। যদিও ঘটে থাকে তা আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’