X
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
৯ আষাঢ় ১৪৩২
১০ দফা দাবি

ধারের টাকায় চলছে ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা, খোঁজ নিচ্ছে না কেউ

বরিশাল প্রতিনিধি
২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৫৩আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৫৩

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে চোখে গুলিবিদ্ধ হন বরিশালের বিএম কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করা মো. রহমতুল্লাহ। তখন থেকে ধারের টাকায় কোনোভাবে চিকিৎসা চালিয়ে আসছেন। এখন তিনি এক চোখে দেখেন না, অপরটিতে কম দেখেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম হওয়ায় চোখ হারালে তার পরিবারকে পথে বসতে হবে বলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন তিনি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে তার মতো এমন অনেক আহতের পরিবার চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছেন। পাচ্ছেন না সরকারি সহায়তা।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরা হয়। এ সময় আহত-নিহতদের পরিবারের সহায়তায় ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

এ সময় উপস্থিত আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, তিন মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও সরকারি সহায়তার জন্য বরিশালের বিভাগ ও জেলা প্রশাসন থেকে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরি করা হয়নি। এমনকি তাদের পরিবারের কোনও খোঁজখবরও নেওয়া হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আন্দোলনে বরিশাল জেলার ৩০ জন নিহত হন এবং গুরুতর আহত হন চার শতাধিক। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও তাদের কোনও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না। সম্মেলনে দাবি জানানো হয়, যেন দ্রুত আহতদের তালিকা তৈরি করে দেশে এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

ঢাকায় আন্দোলনে নিহত সেলিম তালুকদারের বাবা সুলতান তালুকদার জানান, তার পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল সেলিম। আগে ছেলের স্ত্রী-সন্তানসহ ঢাকায় বাসা নিয়ে বসবাস করতেন তারা। ছেলের মৃত্যুর পর বাসা ছেড়ে ঝালকাঠীর নলছিটিতে চলে আসতে হয়েছে। বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি সরকারের নিকট আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আহত ছাত্রদের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রহমাতুল্লাহ সাব্বির নিহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও আহতদের চিকিৎসার দাবিসহ ১০ দফা তুলে ধরেন। উত্থাপিত দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সড়কের নামকরণ, এককালীন অনুদান প্রদান, মাসিক ভাতার ব্যবস্থা, নিহতের পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া, আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদান ইত্যাদি।

/কেএইচটি/
সম্পর্কিত
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কা, চালক নিহত
তারাকান্দায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
চলন্ত লরির পেছনে ডাম্পট্রাকের ধাক্কা, চালক ও সহকারীর মৃত্যু
সর্বশেষ খবর
৫ আগস্টের পর ক্ষমতার বিরোধে দুই বন্ধু হয়ে গেলেন শত্রু, ঘটে গেলো জোড়া খুন
৫ আগস্টের পর ক্ষমতার বিরোধে দুই বন্ধু হয়ে গেলেন শত্রু, ঘটে গেলো জোড়া খুন
হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৪৭২১২ জন, মৃত্যু ৩৮
হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৪৭২১২ জন, মৃত্যু ৩৮
গোড়ালির মরা চামড়া দূর করতে পারেন ৫ উপায়ে
গোড়ালির মরা চামড়া দূর করতে পারেন ৫ উপায়ে
সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেফতার
সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত
ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহে প্রস্তুত একাধিক দেশ: রাশিয়া
ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহে প্রস্তুত একাধিক দেশ: রাশিয়া
কর ফাঁকি: মৌসুমী-ফারিয়া-সাবিলা নূরসহ ২৫ তারকার ব্যাংক হিসাব জব্দ
কর ফাঁকি: মৌসুমী-ফারিয়া-সাবিলা নূরসহ ২৫ তারকার ব্যাংক হিসাব জব্দ
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারীদের, বৈঠক করবেন আসিফ নজরুল
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারীদের, বৈঠক করবেন আসিফ নজরুল
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল মাওলা গ্রেফতার
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল মাওলা গ্রেফতার
পদোন্নতি পরীক্ষা থেকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ক্যাডারের ১৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল
পদোন্নতি পরীক্ষা থেকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ক্যাডারের ১৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল