উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীতে গত তিন দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীর বিভিন্ন নিচু স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। অনেক পরিবার হয়ে পড়েছেন পানিবন্দি।
এদিকে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। বেড়েছে নদ-নদীর পানির উচ্চতা। বাতাসের চাপও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। তাই পটুয়াখালীর পায়রা, চট্টগ্রাম,কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সব মাছ ধরার ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে পটুয়াখালীসহ দেশের ৯ নদী বন্দরের ওপর পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব নদী বন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যতে বলা হয়েছে।
গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, এক সপ্তাহ আগে তিন একর জমিতে আউশ ধানের চারা রোপণ করেছি। কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিতে সব তলিয়ে আছে। এভাবে থাকলে ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃষ্টির পানি কমছে না।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ছে। অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।