বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৭টি উপজেলার ঝিরি ও ঝর্ণা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রবিবার বান্দরবান জেলা প্রশাসন মিলনায়তনে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসন মিলনায়তনে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির ওই সভায় রুমা উপজেলার রুমা ঝিরি এবং লামা ও থানচি উপজেলায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।
এছাড়াও জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমম্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মাদকদ্রব্য প্রবেশ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার সদরের টংকাবতি, রোয়াংছড়ির নোয়াপতং, লামা উপজেলার লাইনঝিরি, কাঁকড়া ঝিরি, হরিণ ঝিরি, টাকের পানছড়ি মৌজা, শীলের তোয়া, কাঁঠালছড়া, নন্দির বিল, ফাঁসিয়াখালী, রুমা, থানচি এবং আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঝিরি ও পাহাড় খুঁড়ে বারুদের বিস্ফোরন ঘটিয়ে পাথর উত্তোলন করছে পাচারকারীরা। দীর্ঘদিন ধরে অবাধে পাথর উত্তোলন করার ফলে শুকিয়ে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাহাড়ি-ঝিরি ও ঝর্ণা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলা সদরের টংকাবতী ইউনিয়নে মকবুল উকিল, মো. কালু মেম্বার, আবদুর রহিম, রোয়াংছড়ি উপজেলায় আবুল বশর ড্রাইভার, থানচি উপজেলায় মং থোয়াই ম্যা রনি ও আলীকদম উপজেলায় মো. আবুল কালাম বছরের পর বছর ধরে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গত কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামের বাজালিয়া এলাকার জিয়া থানচির বিভিন্ন ঝিরি থেকে ভাসমান পাথর সংগ্রহের কথা বলে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছে তারা।
/এমডিপি/