X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাবুুনগরীর কখনও সাক্ষাৎ হয়নি: হেফাজত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
২১ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৩৯আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৩৯

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর বৈঠকের স্বীকারোক্তি জঘন্য মিথ্যাচার ও সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বুধবার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা তাজুল ইসলাম এই দাবি করেন।

সংগঠনের প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়জী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েকটি গণমাধ্যমে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলামের জবানবন্দিকে উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনের এক সপ্তাহ আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে জুনায়েদ বাবুনগরীর গোপন বৈঠক হয়েছে। তবে এটি নির্জলা মিথ্যাচার।

বিবৃতিতে মাওলানা তাজুল ইসলাম (পীর সাহেব ফিরোজশাহ) বলেন, হেফাজতের শীর্ষ নেতৃত্বকে কলঙ্কিত করতে মুফতি ফখরুল ইসলামের কাছ থেকে পুলিশ মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। এই স্বীকারোক্তি একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় শীর্ষ আলেমের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। দেশবাসী এমন মিথ্যা স্বীকারোক্তি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

৫ মে’র আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিলেন বাবুনগরী

তিনি দাবি করেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে এ যাবত কোনও বৈঠক তো দূরের কথা, বাবুনগরীর সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার কখনো সাক্ষাৎ হয়নি।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী তাজুল ইসলাম বলেন, হেফাজত আমিরের কাছ থেকে আমি জেনেছি, ২০১৩ সালে যখন তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়, তখনও পুলিশ তাকে বেগম জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন কিনা জানতে চেয়েছিল। রিমান্ডেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, বৈঠক তো দূরের কথা, খালেদা জিয়াকে সামনাসামনি তিনি কখনো দেখেননি। মুঈনুদ্দীন রুহি ও ফখরুল ইসলাম এ বিষয়ে সুস্পষ্ট মিথ্যাচার করেছেন। এই মিথ্যাদাবির স্বপক্ষে তাদের কেউই কখনও প্রমাণ হাজির করতে পারবে না।

তাজুল ইসলাম বলেন, ইবাদত-বন্দেগির মাসে হেফাজতের নেতাকর্মী ও হক্কানি উলামায়ে কেরামের ওপর পুরনো মিথ্যা মামলা সচল করে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। গুটিকয়েক নীতি-আদর্শচ্যুত সাবেক নেতাকে এতে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ ২০১৩ সাল বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এখনও ইন্টারনেটে সার্চ দিলে সহজেই জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত তখনকার সংবাদে খুঁজে পাওয়া যাবে, সে সময়ে কোন কোন নেতা কর্মীদেরকে দিবাস্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং কি কি ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু সরকার তাদের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ তো দূরের কথা, বরং তাদেরকে আসকারা দিয়ে ও ব্যবহার করে হক্কানি আলেমদেরকে হয়রানি করে মূলত: ইসলামী চেতনাবোধের কণ্ঠরোধ করতে চায়। দেশবাসী এটা সহজেই উপলব্ধি করতে পারছেন।

সরকার ও প্রশাসনের প্রতি হক্কানি উলামায়ে কেরামের ওপর দমন-পীড়ন ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা এবং অপবাদ আরোপ বন্ধের দাবি জানান তাজুল ইসলাম।



/টিটি/
সম্পর্কিত
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়নি
খালেদা জিয়ার ১১ মামলার শুনানি পেছালো
সর্বশেষ খবর
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
চার বছরে আট ফ্লপ, আসছে আরও এক হালি!
জোড়া আঘাতে হায়দরাবাদকে গুটিয়ে চেন্নাইয়ের জয় রাঙালেন মোস্তাফিজ
জোড়া আঘাতে হায়দরাবাদকে গুটিয়ে চেন্নাইয়ের জয় রাঙালেন মোস্তাফিজ
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ