X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

স্ত্রীর প্রতি সন্দেহে শিশুসন্তানকে হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
২৫ জুলাই ২০২১, ২০:২৬আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২১, ২০:২৬

মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর শিশু সায়মন হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ। বাবা বাদল মিয়াই নয় বছরের শিশুটিকে হত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। রবিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদাতের আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করে বাদল।

এর আগে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলামের কাছেও শিশুসন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দেয় বাদল।

বাদল মিয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের নদ্দাপাড়ার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। তার তিন ছেলের মধ্যে সায়মন বড়। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র। আয়মন (৬) ও নাঈম (৪) নামে তার আরও দুই ছেলে রয়েছে।

আদালতের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘সন্দেহের বশে বাদল মিয়া ছেলেকে খুন করেছে। শনিবার সকালে সে সায়মনকে নিয়ে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে জমিতে ঘাস কাটতে যায়। সেখানে ছেলেকে সে গলা কেটে হত্যা করে লাশ ধানি জমিতে ফেলে দেয়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাদল বাড়িতে এসে শিশু সায়মনকে খোঁজাখুঁজির অভিনয় করে। এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে ওই জমি থেকে গলাকাটা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে। এ খবর পেয়ে পুলিশ সায়মনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ সময় কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ বাদল মিয়াকে থানায় নিয়ে যায়।’

ওসি আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে বাদল জানায়, দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থেকে ২০১২ সালে সে দেশে ফিরে আসে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের দেওয়ান পাড়ায় বিয়ে করে। বিয়ের পর পাঁচ মাস পর সে পুনরায় সৌদি আরবে চলে যায়। সেখানে যাওয়ার দুই মাস পর সায়মনের জন্ম হয়। এতে তার মনে সন্দেহ হয় এই ছেলে তার কিনা? এছাড়া সাত মাসে কোনও শিশুর জন্ম হয় কিনা। এসব সন্দেহ তার মনে দানা বাঁধে। পরে এক বছর পর বাদল মিয়া আবারও দেশে ফিরে আসে। সে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে বিয়ের আগে তার স্ত্রীর সঙ্গে একজনের সম্পর্ক ছিল। বাদল মিয়ার সন্দেহ হয়, বিয়ের সময় তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিল।

‘বাদল মিয়া পুলিশকে আরও জানায়, সায়মনের পরে ও আয়মন ও নাঈম নামে তার আর দুই ছেলের জন্ম হয়। কিন্তু তাদের সঙ্গে সায়মনের চেহারার কোনও মিল নেই। এছাড়া সায়মন ছিল একটু বেপরোয়া ও ক্ষেপাটে প্রকৃতির। সে প্রায়ই তার অপর দুই ছেলেকে মারধর করতো। গত শুক্রবারও সে নাঈমকে মারধর করে। দুই ছেলের সঙ্গে সায়মনের চেহারার মিল না থাকায় বাদলের সন্দেহ আরও বাড়ে। এসব কারণে সে সায়মনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার ভোরবেলা সে সায়মনকে ঘুম থেকে তুলে তার ঘাস কাটতে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের জমিতে নিয়ে যায়।’

জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালতের নির্দেশে বাদল মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান ওসি।

 

/এমএএ/
সম্পর্কিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যা, জড়িতদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
ফুফাতো ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করলো মামাতো ভাইয়েরা
সর্বশেষ খবর
মে দিবসে শ্রমিক জোটের সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল
মে দিবসে শ্রমিক জোটের সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল
যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারী আটক
যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারী আটক
মে দিবসে সিপিবি’র সমাবেশ
মে দিবসে সিপিবি’র সমাবেশ
সাংবাদিক হতে চেয়ে অভিনেত্রী!
সাংবাদিক হতে চেয়ে অভিনেত্রী!
সর্বাধিক পঠিত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
অষ্টম শ্রেণির স্কুল বাড়াতে চায় সরকার
অষ্টম শ্রেণির স্কুল বাড়াতে চায় সরকার
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’