ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সমাবেশে যোগ দিতে জেলায় প্রবেশকালে বাধার মুখে পড়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। ১৪৪ ধারা জারি করায় সমাবেশের স্থান পাল্টে পৌর এলাকার বাইরে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, যেকোনও মূল্যে সমাবেশ সফল করা হবে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাশহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় পৌর এলাকার বাইরে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বটতলী বাজারে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, ১৪৪ ধারা ভেঙে কাউকে শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ধারা ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
এদিকে শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবেশকালে আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায় বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ রুমিন ফারহানার গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। পরে আশুগঞ্জ উপজেলার উজান-ভাটি হোটেলে অবস্থান নেন তিনিসহ বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। সেখান থেকে সমাবেশস্থল সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলী বাজারে যাবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান বলেন, শহরে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় রুমিন ফারহানার গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। পরে উজান-ভাটি রেস্টুরেন্ট পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়। তারপর সেখানে গিয়ে বসেন তিনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, যেকোনও মূল্যে সমাবেশ সফল করা হবে। কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
সরজমিন দেখা যায়, দুপুর ১২টা থেকে বটতলীতে আসতে শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। হাজার দুয়েক নেতাকর্মী সেখানে জড়ো হয়েছেন। রুমিন ফারহানাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উজান-ভাটি হোটেলে অবস্থান করেন। হোটেলের সামনে পুলিশ অবস্থান করছে।
এদিকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমীর চক্রবর্তী নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া বোডিং মাঠ এলাকা থেকে একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে মিছিলকারীরা সেখান থেকে বটতলী বাজার এলাকায় গিয়ে সমাবেশস্থলে অংশগ্রহণ করে।
পৌর এলাকার ফুলবাড়িয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে একই সময়ে জেলা বিএনপি ও জেলা ছাত্রলীগ সমাবেশ ডাকায় সকাল ৬টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে প্রশাসন। এলাকার ৪০ পয়েন্টে পাঁচ শতাশিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।