রাঙামাটির লংগদুতে মাইনী নদীতে নৌকা ডুবে নিখোঁজের ছয় ঘণ্টা পর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম সাদিয়া আক্তার। সে লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
বুধবার (২৭ জুলাই) বিকালে মাইনীমুখ বাজার এলাকায় দাদির দাফন শেষে ফুফাতো বোনের সঙ্গে মাইনী নদীতে নৌকা চড়তে যায় সে। স্রোতের তোড়ে নৌকা ডুবে নদীতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন নিখোঁজের খবর শুনে অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ৯টার দিকে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ গজ দূরে মৃত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
মাইনী বাজারের স্থানীয় বাসিন্দা এ বি এস মামুন জানান, গতকাল সাদিয়ার দাদির মৃত্যুর খবর শুনে পুরো পারিবার আজ মাইনীতে আসে। দুপুরে দাদির জানাজা শেষে ফুফাতো বোনের সঙ্গে মাইনী নদীতে নৌকা চড়তে যায়। স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ৯টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরপর দুটি মৃত্যুতে
পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মাইনীমুখ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল জানান, দাদিকে কবর দেওয়ার পর নৌকা চড়তে যায়। সেখানে নৌকা ডুবে সাদিয়া ও তার ফুফাতো বোন নদীতে তলিয়ে যায়। তবে ফুফাতো বোন পাড়ে উঠতে পারলেও সদিয়া ভেসে যায়। নদীতে জাল ফেলে অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ৯টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লংগদু থানার ওসি আরিফুল আমিন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। মাইনী নদীতে স্রোতে তালিয়ে গিয়ে সাদিয়া নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয়রা রাত ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।