অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকালে সমন্বিত জেলা কার্যালয় কক্সবাজারে মামলাটি করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন। দুদক সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৬ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেন মনিরুজ্জামান। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে চার কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৩ টাকার সম্পদ জ্ঞাতসারে অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্জন করেছেন, যা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। তিনি অবৈধভাবে অর্জিত ও অপরাধলব্ধ সম্পদ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে ভোগ দখলে রাখেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় মামলা করেছে দুদক।
মনিরুজ্জামান দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিন কোটি ৫৫ লাখ ৩৪ হাজার ১০০ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদান করেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাই করে তার নামে চার কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৬ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৬ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমি কোনও অবৈধ সম্পদ অর্জন করিনি এবং তথ্য গোপন করার কথাও আসে না। আমার সব সম্পদের হিসাব নির্বাচনী হলফনামায় দিয়েছি। তারপরও দুদক মামলা করে থাকলে সেটা আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা করবো।’