এক কিশোরীর সঙ্গে দুই বন্ধুর প্রেমের সম্পর্কের জেরে চট্টগ্রামের বাকলিয়ার রাকিবুল ইসলাম রিকাতকে (২১) হত্যা করা হয়। ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আনোয়ারা থানার মোহছেন আউলিয়া মাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ হত্যায় জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে চন্দনাইশ থানাধীন রুবেল নামে এক ব্যক্তির ভাড়া ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত ছোরা।
গ্রেফতার দুই জন নগরের চান্দগাঁও এলাকার সফি হাজীর বিল্ডিংয়ের হাজী মো. সফির ছেলে মো. গোলাম কাদের অরফে হৃদয় (১৯) ও একই এলাকার মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. সাকিব (২১)।
বাকলিয়া থানার ওসি আব্দুর রহিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রিকাত নামে এক যুবককে হত্যার ক্লু উদঘাটন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরও তিন জন আরমান, আরজু, সানিফ এখনও পলাতক। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ওসি আরও জানান, রিকাতসহ বাকি পাঁচ জনই টিকটকের সঙ্গে জড়িত ছিল। সাকিবের সঙ্গে ১৬ বছরের এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ওই কিশোরী রিকাতের নতুন করে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। বিভিন্ন সময় ফেসবুক, মেসেঞ্জারে নানা ধরনের এসএমএসের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ হতো। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি রিকাতের বন্ধু সাকিব। এ কারণে প্রতিদ্বন্দ্বীকে সরিয়ে দিতেই পরিকল্পিতভাবে রিকাতকে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কর্ণফুলী নদীর ঘাটকূল এলাকায় রিকাতকে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি নগরীর চান্দগাঁও থানার খাজা রোড কমিশনার গলির মো. শরিফের ছেলে।