সংবাদ প্রকাশের পর এবার কুমিল্লার হাইওয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম। অভিযানের প্রথম দিনে দুই হোটেলকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুমিল্লা কার্যালয়ের উদ্যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের কুমিল্লা অংশের বিভিন্ন হাইওয়ে হোটেলে তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বাসি খাবার বিক্রির উদ্দেশে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা, অননুমোদিত উপাদান দিয়ে খাদ্য প্রস্তুত ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাবার সংরক্ষণ করায় পদুয়ার বাজার এলাকার হোটেল নুরজাহানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ৫৭০ পিস বাসি টিক্কা কাবাব ও পোকামাকড়সহ ১২ লিটার রসমালাইয়ের ঝোল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংসের সঙ্গে মসলা ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণ, অনুমোদনহীন পণ্য বিক্রি করায় ছন্দু হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আট কেজি বাসি বাটা মসলা, এক কৌটা হাইডোাজ ও ১৪ পিস অনুমোদনহীন রেডবুল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। ভোক্তা অধিকারবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এই দুই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম বলেন, আমরা আগেও হাইওয়ে হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি। সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশের পর অনিয়মের বিষয়টি আবারও নজরে আসে। তাই অভিযান শুরু করেছি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন না মানায় দুই প্রতিষ্ঠানকে আজ জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে 'খাবারের দাম দ্বিগুণ, বাস মালিক-হাইওয়ে হোটেলগুলোর সিন্ডিকেট' শিরোনামে গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলা ট্রিবিউনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে হাইওয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম বেশি, নানা অনিয়ম এবং যাত্রীদের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। পরে বিষয়টি নজরে আসে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের।