চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তের গুলিতে এস এম কামরুল ইসলাম (৪৫) নামে এক সাংবাদিকসহ দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রবিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর-পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন গাটিয়াডেঙ্গার মদিনা নগর এলাকার এম এ হাসানের ছেলে এস এম কামরুল ইসলাম। তিনি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি ইভিনিংয়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান। গুলিবিদ্ধ শিশুটির নাম মোহাম্মদ রাফি (৫)। সে উত্তর-পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে।
কামরুলকে প্রথমে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাফিকে উপজেলার একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কামরুলের স্বজনরা জানিয়েছেন, পরিবার নিয়ে নগরীর দিদার মার্কেট এলাকায় বসবাস করেন কামরুল। ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন।
আহত কামরুল ইসলামের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই বিভিন্ন সময়ে ভূমিদস্যু, ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ করেছেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। আমার ভাই চিকিৎসাধীন। আহত শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিশুটির অবস্থা গুরুতর। তার শরীরে গুলি লেগেছে। সেই সঙ্গে কামরুল ইসলামের শরীরেও গুলি লেগেছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।’
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুর ১টার দিকে গাটিয়াডেঙ্গা এলাকায় শামসুল ইসলামের চায়ের দোকানে বসে কথা বলছিলেন কামরুল। এ সময় মুখোশধারী ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত কামরুলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে কামরুল ও দোকানের ভেতরে থাকা রাফি গুলিবিদ্ধ হন। রাফি দোকানি শামসুল ইসলামের নাতি।
দোকানি শামসুল ইসলাম বলেন, ‘কামরুল চায়ের দোকানের সামনে বেঞ্চে বসে আমার সঙ্গে কথা বলছিল। এ সময় মুখোশধারী কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে কামরুল ও দোকানের ভেতরে থাকা আমার নাতি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
সাতকানিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত বলেন, ‘দুর্বৃত্তের গুলিতে শিশুসহ দুই জন আহত হয়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’