মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে ‘শোকাহত পোস্টার’ লাগানোকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের গাংচিল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় চরএলাহী ইউনিয়নের শ্রমিক লীগ নেতা আবদুল করিম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন চরএলাহী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম (৪৫), যুবলীগের কর্মী মো. রুবেল (২২), চরএলাহী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধরণ সম্পাদক মো. রিপন (১৮), যুবলীগ কর্মী একরাম (২০), এরশাদ (২৪) ও রুহুল আমিন (৪৮)। আহত আবদুল করিমকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে গাংচিল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য যুবলীগ কর্মী এরশাদ গাংচিল বাজারের একটি পিলারে সাঈদীর মৃত্যুতে শোকাহত পোস্টার লাগান। পোস্টারটি দেখে শ্রমিক লীগ নেতা আবদুল করিম তা ছিঁড়ে ফেলেন। এ নিয়ে এরশাদের সঙ্গে আবদুল করিমের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়ের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয় পক্ষের ছয় নেতাকর্মী আহত হন।
চরএলাহী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. হেলাল বলেন, ‘সাঈদীর মৃত্যুতে শোকাহত পোস্টার লাগানো নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। সিনিয়র নেতারা সমস্যাটি সমাধান করে দেবেন বলেছেন।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সোলাইমান বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন শ্রমিক লীগ নেতা আবদুল করিম।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় আবদুল করিম মামলা করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’