কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ছিনতাইয়ের চার দিন পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন কাজী এমদাদ নামের এক আসামি। রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত জাহান চৌধুরীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। পরে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট বিকালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের করপাটি এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে এমদাদকে ছিনিয়ে নেন সহযোগীরা। রবিবার দুপুরে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা করা হয়। এতে কাজী এমদাদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত সাত জনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ জানায়, ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে কাজী এমদাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন কনকাপৈত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল। পাশাপাশি একই দিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণার গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুল্লাহ আল ফরিদ। দুই মামলায় এমদাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন।
গত বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকালে চৌদ্দগ্রাম থানার এএসআই আজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কনকাপৈত ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রাম থেকে এমদাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। থানায় আনার পথে কনকাপৈত ইউনিয়নের করপাটি এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেন সহযোগীরা। এ ঘটনায় আহত হন এএসআই আজিম উদ্দিন ও জাকির হোসেন, কনস্টেবল আবু ছিদ্দিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক সাইফুল ইসলাম। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। রবিবার দুপুরে কুমিল্লার আমলি আদালত-৫-এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত জাহান চৌধুরীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন এমদাদ। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী খোরশেদ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনের সময়ে গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে আজ।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এমদাদ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।