ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে পিকনিকের মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে চার জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো মো. হোসেন (১৬) শফিকুল ইসলাম (১৭) তানভীর হোসেন (১৭), রাতুল ইসলাম (১৭), আরিফ হোসেন (১৬), তোফায়েল আহমেদ ফাহিম (১৬), ফারজানা আক্তার (১৭), রামিম হোসেন (১৬), জেসন (১৬), মো. নোমান (১৬), রাহুল (১৫) ও তামিম (১৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া থেকে সমীকরণ প্লাস কোচিং সেন্টারের অন্তত ৬০ জন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী একাধিক মাইক্রোবাসে সকালে হবিগঞ্জের সাতছড়ি উদ্যানে পিকনিক করতে যায়। বিকালে ফেরার পথে বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা এলাকায় মাধবপুরগামী দিগন্ত পরিবহনের বাসের সঙ্গে তাদের একটি মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিজয়নগরের বাসিন্দা আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই আমরা।’
সমীকরণ প্লাস কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মো. ফাহিম বলেন, ‘সাতছড়ি উদ্যানে পিকনিক করে মাইক্রোবাসযোগে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফিরছিলাম। পথে ঘটেছে দুর্ঘটনা। এতে ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়। তারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, ‘১২ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে চার জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের এখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক-হেলপার পালিয়ে গেছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’