পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এতে হ্রদের তীরবর্তী অঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিতীয় বারের মতো খুলে দেওয়া হয়েছে বাঁধের জলকপাট।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাঁধের ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি করে উঠিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি অপসারণ করা হচ্ছে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে আরও প্রায় ২৫ হাজার কিউসেক পানি অপসারণ হচ্ছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ১৪ ঘণ্টা বাঁধের গেট খোলা রাখা হয়।
কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। মঙ্গলবার সকালে হ্রদে পানি মজুত ছিল ১০৮.২৩ এমএসএল। যা অনেকটা বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই। জেলার লংগদু, বিলাইছড়ি, বরকল, রাঙামাটি সদর উপজেলার নিম্ন এলাকায় বাড়িঘরে পানি ওঠার পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।