চট্টগ্রামে কপাল পুড়েছে দুই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের। তারা হলেন বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী ও সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়তে পদত্যাগ করেছিলেন দুজনেই। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পাননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন চার জন। তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে এস এম আল মামুন এবং চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। বাকি দুই জন মনোনয়নবঞ্চিত হন।
এদিকে, দলীয় মনোনয়ন না পেলেও চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এম এ মোতালেব। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘গণভবনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইলে দলীয় কোনও বাধা নেই। নির্বাচন উৎসবমুখর করতে হবে। তাই সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের তৃণমূলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণের আশা এবং দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো আমি।’
তবে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাননি।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, তাদের নির্বাচনের আগে পদে ফেরার সুযোগ নেই। যথারীতি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিজয়ী প্রার্থী চেয়ারম্যান হবেন।’
একই কথা বলেছেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আকতার। তিনি বলেন, ‘বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী পদত্যাগ করেছেন। তার এই পদে ফিরে আসার সুযোগ নেই।’