চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর গণসংযোগের গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রার্থীর কর্মীদের অভিযোগ, হামলায় তার ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। এসময় গণসংযোগে নিয়োজিত সামশুল হক চৌধুরীর গাড়িসহ মোট ছয়টি গাড়ির চাকার টায়ার কেটে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নে সামশুল হক চৌধুরী গণসংযোগে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য সামশুল হক চৌধুরী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সমর্থকদের দায়ী করেছেন। সামশুল হক এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
এ প্রসঙ্গে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম শারুন বলেন, ‘বিকালে কাশিয়াইশ ইউনিয়নে গণসংযোগকালে অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ এ হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অনেক গাড়ির চাকা কেটে দেওয়া হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
এ ঘটনায় সামশুল হক চৌধুরীর সমর্থক সাদ্দাম হোসেন (৩০), গিয়াস উদ্দিন (৩০), নুরুল ইসলাম (৩২), গাড়ি চালক জাবেদ (৩২), তৌহিদুল ইসলাম ফারুকী (৩৪) ও ফিরোজ (৩৫) আহত হয়েছেন।
আহত ফিরোজ বলেন, সামশুল হক চৌধুরীসহ শান্তিপূর্ণভাবে ঈগল প্রতীকে প্রচারণা চালানোর জন্য কাশিয়াইশ ইউনিয়নে এসেছি। অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। স্থানীয় কাসেম চেয়ারম্যান, সাঈম, শাহাদাতসহ বেশ কয়েকজন ছুরি, রামদা, লাঠি-সোঠা এবং অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। আমি এর বিচার চাই।’
এ প্রসঙ্গে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী আজ বিকালে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নে গণসংযোগ করতে যান। সেখানে তার গাড়িসহ মোট চারটি গাড়ির চাকা ফুটো করে দেওয়া হয়। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী তার লোকজনকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এর সঙ্গে আমার কেউ জড়িত নয়। তার লোকজন আমাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এমনকি ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।’