তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি। সবার খেদমত করেছি, সবার পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। কে ভোট দিয়েছে, কে ভোট দেয়নি তা কখনও দেখিনি। এখন আমি আপনাদের দুয়ারে হাজির হয়েছি। আমার জন্য আপনাদের দুয়ারটা খোলা রাখবেন। আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়ী করবেন।’
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় নৌকা মার্কার প্রচারণায় গণসংযোগে এসব কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া- বোয়ালখালী) আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন হাছান মাহমুদ। এদিন রাঙ্গুনিয়ার হাজারিহাট, মধ্য পারুয়া, কাটাখালী, উত্তর পারুয়া, রাজারহাট, ধামাইরহাট, উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, আলমশাহ পাড়া, শান্তি নিকেতন ও মোগলের হাটসহ ছয় ইউনিয়নে বিভিন্ন পথসভা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভোট চেয়ে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ায় বড় বড় সড়ক হয়েছে। যারা ভোট বর্জনের কথা বলে তারা রাঙ্গুনিয়ায় আমাদের করা সড়কের গর্তও ভরাট করতে পারবে না। বর্তমানে প্রতি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ ভাতা পাচ্ছে। ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কে কোন দল করে, তা কখনও দেখিনি। দল বিবেচনায় কাউকে কখনও ভাতা দেওয়া হয়নি। তাই আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটে আপনারা দলমত নির্বিশেষে নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন এই প্রত্যাশা করি।’
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আপনারা আমাকে এমপি নির্বাচিত করেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী বানিয়েছেন এবং দলের উচ্চ পদে বসিয়েছেন। এরপরও আমি সপ্তাহে চট্টগ্রাম এবং রাঙ্গুনিয়ায় আসি। আমি যত সময় এলাকায় থাকি, অনেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররাও থাকেন না।’
যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, গাড়িতে-ট্রেনে আগুন লাগিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের সাধারণ মানুষ বর্জন করেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার মুখ তাদের আর নেই। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে ভোট বর্জনকারী আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হবে।’
গণসংযোগে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন তালুকদার, মো. শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, মুহাম্মদ আলী শাহ, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদার প্রমুখ।