চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গত নয় দিনে আওয়ামী লীগের ২৫৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ১৯ ঘণ্টায় মহানগর পুলিশের অভিযানে ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
এদিকে, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নয় দিনে সিএমপির বিভিন্ন থানা পুলিশের অভিযানে ২৫৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০, ৭ ফেব্রুয়ারি ১৬, ৬ ফেব্রুয়ারি ৪০, ৫ ফেব্রুয়ারি ৩৪, ৪ ফেব্রুয়ারি ৪৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ৪২, ২ ফেব্রুয়ারি ২৮ এবং ১ ফেব্রুয়ারি ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাহমুদা বেগম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শনিবার দুপুর ২টা থেকে রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ১৯ ঘণ্টায় নগরীর বিভিন্ন থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ১৯ জনকে গ্রেফতার করে। তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’
এর মধ্যে বন্দর থানার অভিযানে মো. মাইদুল ইসলাম (৩৫), পাঁচলাইশ থানার অভিযানে মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে রনি (১৯), শহিদুল আলম (২৭), সদরঘাট থানার অভিযানে শামছু আলম ওরফে আলম (৩০), কোতোয়ালি থানার অভিযানে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রিয়তোষ চৌধুরী (৬২), খুলশী থানার অভিযানে ইমামুল হক (২৮), মো. পাভেল (৩০), মো. মনিরুজ্জামান রিয়াদ (৩৯), আকবরশাহ থানার অভিযানে মো. সুমন (২৯), তামজিদ হোসেন (২১), ইপিজেড থানার অভিযানে মো. নাঈম গাজী (২১), মো. কচির উদ্দিন লিটন (৩৮), চান্দগাঁও থানার অভিযানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইশতিয়াক ওয়াসিফ (২৫), রাসেল আহমেদ (৩৮), বাকলিয়া থানার অভিযানে মো. জুয়েল (৩০), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৬), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩৬) ও কর্ণফুলী থানার অভিযানে জুলধা ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম শরিফসহ (৪৯) ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়।