কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার আসামি ফজর আলী এখন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। এদিকে এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর গ্রেফতার চার জনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) কুমিল্লা মেডিক্যাল, মুরাদনগর থানা ও আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মুরাদনগর উপজেলার ওই গ্রামের সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিককে।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, অভিযুক্ত ফজর আলীকে অর্থোপেডিকস বিভাগে সিট খালি না থাকায় ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে। তবে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে অর্থোপেডিকস বিভাগ। ওই বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার হাতে ও পায়ের চারটি স্থানে ভেঙে গেছে। তবে দুটি স্থানের আঘাত কয়েক দিন মাঝেই সেরে যাবে। বাকি দুটির অস্ত্রোপচার করতে হবে।
পরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, চিকিৎসকরা সব রোগীর মতো তাকেও চিকিৎসা দিচ্ছেন। ছাড়পত্র দেওয়ার সময় হলে দিয়ে দেবো। আদালতে উঠানোর বিষয়টি দেখবে পুলিশ।
কোর্ট ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। তবে আদালত তা পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামীকাল ধার্য করেছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লার মুরাদনগর থানার ওসি জাবেদুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে। একটি ধর্ষণ মামলা। অপরটি যারা ভিডিও করেছে তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি মামলা। ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি ফজর আলী। আর পর্নোগ্রাফি মামলার নামীয় আসামি পাঁচ, অজ্ঞাত আরও ২৫ জন। মোট ৩০ জন।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রামে ঘরের দরজা খুলে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ করেন এক নারী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফজর আলী (৩৮) উপজেলার বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামের পূর্বপাড়ার শহীদ মিয়ার ছেলে।
এজাহারে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেছেন, তিনি ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। এরপর থেকে অভিযুক্ত ফজর আলী তাকে দেখলেই উত্ত্যক্ত করতে থাকে। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ফজর আলী কৌশলে তার ঘরের দরজা খুলে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করে। পরে চিনে ফেলায় কাউকে বললে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসে।