ফরিদপুরের নগরকান্দায় চিকিৎসকের অবহেলায় মলিনা বেগম (১৯) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১২ আগস্ট) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ২টার দিকে উপজেলার শহীদনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের আ. গফ্ফার শেখের মেয়ে মলিনা বেগম কিটনাশক জাতীয় পান করে অসুস্থ হলে নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। অনেক ডাকাডাকির করে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রনজিৎ কুমার রুদ্র হাসপাতালের গেটের এসে রোগীকে বাইরে রেখে কোনও ব্যবস্থাপত্র না দিয়ে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।
এদিকে রোগীর স্বজনরা যানবাহন না পাওয়ায় ফরিদপুর মেডিক্যালে নিতে ব্যার্থ হয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সহযোগিতায় রোগীকে রাত ৩ টার দিকে ফের নগরকান্দা হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রনজিৎ কুমার রুদ্র এসে রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তিনি রেফার্ডের কাগজ লিখে মলিনার মায়ের হাতে ধরিয়ে দেন।
মৃত্যুর পরে কেন রেফার্ড করা হলো জানতে চাইলে অভিযুক্ত ডাক্তার রনজিৎ কুমার রুদ্র বলেন, ৩/৪ বার পরীক্ষা করার পর রোগীকে মৃত মনে হলেও পরে মনে হয়েছে সে বেঁচে আছে, তাই তাকে রেফার্ড করা হয়েছে।
মলিনার মা বলেন, হাসপাতালে এসে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তার আমার মেয়েকে একটুও দেখলো না। শুধু বলেছে ফরিদপুর নিয়ে যাও।
তিনি দাবি করেন, চিকিৎসকের অবহেলায় তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি এর বিচার চেয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/এআর/