মানিকগঞ্জের বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর রাতে ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়ক থেকে এক ট্রাক নিষিদ্ধ পলিথিন আটক করে। তবে জব্দ তালিকায় উদ্ধার করা পলিথিনের পরিমাণ ও মূল্য নিয়ে বিভ্রান্তকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে। বাজারে পলিথিনের কেজি ২৪০-২৫০ টাকা হলেও জব্দ তালিকায় ৪০ টাকা করে দেখানো হয়েছে।
প্রথমে হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ বাসুদেব সিনহা জানান, তারা তিন টন পলিথিন জব্দ করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য ৯০ হাজার টাকা।
পরে শনিবার বিকালে হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শকের সঙ্গে কথা হলে তিনি ভিন্ন তথ্য জানান। তিনি বলেন, আটক পলিথিনের পরিমাণ সাড়ে ৭ টন হয়েছে। আর ৪০ টাকা কেজি দরে আনুমানিক মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ টাকা।
অথচ মানিকগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বাজারের মুদি দোকানদারসহ পলিথিন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পলিথিনের কেজি ২৪০-২৫০ টাকা। সেই হিসেবে সাড়ে সাত টন পলিথিনের বাজার মূল্য দাঁড়ায় ১৮ লাখ টাকার মতো।
এদিকে একটি সূত্রে জানা গেছে, আটক পলিথিনের ট্রাক ছাড়ানোর জন্য পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তদবির করেছিলেন। কিন্তু সাংবাদিকরা বিষয়টি জানার পর সে তদবির কাজে আসেনি।
পুলিশ কর্মকর্তা বাসুদেন সিনহার দাবি, কোনও কর্মকর্তা ওই মাল ছাড়ানোর ব্যাপারে তদবির করেননি।
দামের বিষয়ে তিনি বলেন, তার মনে হয়েছে পলিথিনের দাম ৪০ টাকা। তাই তিনি এ দাম ধরে হিসাব দিয়েছেন।
পলিথিন ব্যবসার জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, উদ্ধার করা পলিথিনের পরিমাণ ১১ টন।ঢাকার পলিথিন ব্যবসায়ী মিশুর এগুলো ফরিদপুরে পাঠাচ্ছিলেন।
তবে পুলিশের মামলায় পলিথিনের মালিকের দেখানো হয়েছে ঝালকাঠির নলসিটি উপজেলার মিরাজ হোসেনকে। আটক ট্রাক ও পলিথিন বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে বলে জানা গেছে।