গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সোমবার (০৯ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত টিকা নিতে আসা মানুষকে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের মূল ভবনের পাঁচ তলায় টিকার অপেক্ষায় থাকা মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। একে অন্যের গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়েছিল। তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। কোনও ধরনের শৃঙ্খলা কিংবা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হয়নি। অধিকাংশের মুখে ছিল না মাস্ক।
কালিয়াকৈরের সফিপুর থেকে টিকা নিতে আসা এসএ মামুন বলেন, সকাল ৮টায় হাসপাতালের নিচতলায় টিকা নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াই। সকাল সাড়ে ৯টায় হাসপাতালের দুজন স্টাফ এসে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া শুরু করেন। একসঙ্গে বহু লোকের সমাগম ও একত্রে ক্লিয়ারেন্স দেওয়ায় ভিড় লেগে যায়।
তিনি বলেন, গত ৪ আগস্ট টিকা নিতে এসে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে না নিয়ে ফিরে গেছি। সার্ভার জটিলতার কারণে আমার মতো অনেককেই ওই দিন ফিরে যেতে হয়েছে।
টঙ্গীর আউচপাড়া থেকে টিকা নিতে আসা আবুল কালাম আজাদ বলেন, সকাল ৬টায় হাসপাতালের নিচতলায় টিকার ক্লিয়ারেন্সের জন্য লাইনে দাঁড়াই। কিছুক্ষণের মধ্যে হাজার মানুষের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ক্লিয়ারেন্সের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে এসএমএসের প্রিন্ট কপি দেখে সিল দিয়ে পাঁচ তলায় পাঠিয়ে দেন। সেখানে মানুষের ভিড়ে নিশ্বাস ফেলার জায়গা ছিল না। পরে গাদাগাদি করে টিকা নিয়েছি।
গাজীপুর সদর হাসপাতালের পরিচালক ডা. হাফিজ উদ্দিন বলেন, সোমবার থেকে টিকাদান বিভিন্ন ওয়ার্ডের কয়েকটি কেন্দ্রে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রে জনসমাগম বেশি। আগে হাসপাতালের ভেতরে টিকা কার্যক্রম চলেছে। রবিবার থেকে বাইরে প্যান্ডেল করা হয়েছে। সবাইকে এক স্থানে একত্রে ডাকায় ভিড় হয়েছে। টিকা প্রদানের লোকবল আমার তত্ত্বাবধানে দেওয়া হলেও স্বেচ্ছাসেবী ও ব্যবস্থাপনার কাজটি করেন সিভিল সার্জন ও সিটি করপোরেশন।
এ বিষয়ে জানতে জেলা সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও ধরেননি।