আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ৩০ বছর ধরে দুই সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের প্রভাব পড়ে ১০টি গ্রামের বাসিন্দাদের ওপর। অবশেষে দীর্ঘ বিরোধের অবসান ঘটিয়ে শান্তিসভা করে মিলেমিশে থাকার শপথ করেছেন তারা।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তেলজুড়ী, রায়বর, দৈবকনন্দনপুর, নিধিপুর, দুর্গাপুর ও বাজিতপুরসহ ১০ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মাতব্বরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পরিষদ সদস্য ও শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন, শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রইসুল ইসলাম পলাশ, সৈয়দ সাকির আহমেদ সাকু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ওমর হাফিজ মুক্তি প্রমুখ।
আবুল কালাম আজাদ জানান, শেখর ইউনিয়নের ১০ গ্রামে আমার ও সাবেক চেয়ারম্যান পলাশের লোকজনের মধ্যে ৩০ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আমরা সব বিরোধের অবসান ঘটিয়ে দুই পরিবার এক হয়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে আগামী দিনে চলাফেরা করবো।
তিনি আরও বলেন, ১০ গ্রামের মানুষের মাঝে আর কোনও দ্বন্দ্ব-মামলা থাকবে না। যত মামলা আছে তা আইনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে ফেলবো। দশ গ্রামের মানুষ দলমত নির্বিশেষে মামলা-হামলা ছাড়া শান্তিতে বসবাস করার জন্য আমাদের এই শান্তিসভা।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন বলেন, শেখর ইউনিয়নে সাবেক দুই চেয়ারম্যানের বিরোধকে কেন্দ্র করেই মূলত বেশিরভাগ দাঙ্গা-হামলা ঘটে। ওই গ্রামে বেশ কয়েকটি মামলা দুই গ্রুপের মধ্যে রয়েছে। সব মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। নিজেদের মধ্যে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে দুই গ্রুপের লোকজন এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখবে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা করবে।