প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়েছেন লাখো মানুষ। ঘরে ফেরা এ মানুষের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে। প্রতিদিন এই নৌপথ দিয়ে স্বাভাবিক সময়ে হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহন পার হলেও ঈদকে সামনে রেখে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় কয়েকগুণ। অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
দৌলতদিয়া ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল পর্যন্ত ১৯-২০টি ফেরি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলাচল করতো। কিন্তু ঈদুল ফিতরে অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহন পরিবহনে শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে আরও একটি ফেরি বহরে যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যাবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে মানুষের ভোগান্তি কমাতে ও নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে সকাল থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে কৃষ্ণচূড়া নামের একটি ইউটিলিটি ফেরি যুক্ত হয়েছে। এর আগে এই নৌপথে ২০টি ফেরি চলছিল। বর্তমানে এ নৌপথে ১১টি রো রো (বড়) ফেরি, ৮টি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি, দুটি টানা (ডাম্প) ফেরিসহ মোট ২১টি ফেরি চলাচল করছে। এদিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ঈদ যাত্রায় ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় নদী পারের অপেক্ষায় যাত্রীবাহী পরিবহন বাস ও লোকাল বাসের সারি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। আটকে থাকা লোকাল বাসগুলো দৌলতদিয়া টার্মিনালে প্রবেশের জন্য সিরিয়ালে অপেক্ষা করছে এবং ঢাকাগামী যাত্রীবাহী পরিবহন ও ট্রাকগুলো ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে রাজধানী থেকে ফেরিঘাটে আসা যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে পারছেন।
তবে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক যাত্রী।
ঘাট এলাকায় মানুষের কোনও দুর্ভোগ হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌপথে ভোগান্তি কমাতে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ২১টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করছে। ঘাট থেকে কোনও দুর্ভোগ ছাড়াই নদী পার হয়ে ঈদে মানুষ বাড়ি যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য কাজ করে চলছে। আশা করছি চাপ থাকলেও এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারবেন।