টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে অশালীন আচরণের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেছেন নার্সরা। বুধবার (২ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত জরুরি বিভাগ ছাড়া ওয়ার্ডগুলোতে কর্মবিরতি পালন করা হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনরা। পরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অভিযুক্ত ডা. মোখলেসুর রহমান ও ডা. আসজাদুর রহমান শোভনের বিরুদ্ধে বিচারের আশ্বাস দিলে নার্সরা কাজ শুরু করেন।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রোপচার করার আগে টেবিল অগোছালো থাকার কারণে সার্জন ডা. মোখলেসুর রহমান ও ডা. আসজাদুর রহমান শোভনের বিরুদ্ধে দুই নার্সকে গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে। পরে নার্সরা অশালীন আচরণের প্রতিবাদে রোগী রেখে বাইরে চলে যান। পরে ওইদিন দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন নার্সরা। এ ঘটনায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক নার্স জানান, হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রাবেয়া খাতুন ও সিনিয়র স্টাফ নার্স দীপ্তি রানী পাঠক অপারেশন থিয়েটারে দায়িত্বপালন করছিলেন। এ সময় অপারেশন টেবিল পরিষ্কার না থাকায় তাদের গালিগালাজ করেন দুই চিকিৎসক। পরে তাদের শাস্তির দাবিতে সকালে কর্মবিরতি পালন করা হয়। তবে তত্ত্বাবধায়ক বিচারের আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়।
অভিযুক্ত সার্জন ডা. আসজাদুর রহমান শোভন বলেন, হাসপাতালে দুই জন ভিআইপি রোগীর অপারেশন হচ্ছিল। অপারেশন টেবিল অগোছালো ও পরিষ্কার না হওয়ায় নার্সদের কিছু কথা বলা হয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রোগী রেখে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে যান। বারবার তাদের ডাকার পরও আসেনি। রোগীদের এভাবে ফেলে রেখে তাদের বের হওয়া যাওয়া ঠিক হয়নি। পরে অন্যদের সহায়তায় অপারেশন শেষ করে চলে আসি।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান বলেন, নার্সদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে নার্সরা কোনও কর্মবিরতি পালন করেননি বলে দাবি করেন তিনি।