নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় মেরাজুল ইসলাম (২৩) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে ওই ব্যবসায়ীর দোকানের কর্মচারী আল আমিনকে (২১) কুপিয়ে জখম করা হয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (০৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার রুপালী আবাসিক এলাকায় আয়মান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেরাজুল ইসলাম ছালেহনগর এলাকার আজহারুল ইসলামের ছেলে এবং আয়মান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক। আহত আল আমিন রুপালী আবাসিক এলাকার জাভেদ মিয়ার ছেলে এবং ওই ওয়ার্কশপের কর্মচারী।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেরাজুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। আহত আল আমিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার চিকিৎসা চলছে।’
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ইফতারের আগমুহূর্তে ছয়-সাত জন যুবক মুখে কাপড় বেঁধে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওয়ার্কশপের মালিক মেরাজুল ও কর্মচারী আল আমিনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেরাজুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেরাজুল ও আল আমিন ওয়ার্কশপে বসে ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা থাকায় চিনতে পারেননি প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বক্কর সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আহত দুই জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুনেছি তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে এখনও মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারিনি আমি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। কে বা কারা হামলায় জড়িত, তাদের শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।’