গাজীপুরের শ্রীপুরে ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে (২৩) মহাসড়কে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আসামি করা হয়েছে। সোমবার (৬ নভেম্বর) তাকওয়া পরিবহনের মালিক স্বপন আহমদ বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে ওই মামলা দায়ের করেছেন। মামলার মোট ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে মামুন ১৩ নম্বর আসামি।
আব্দুল্লাহ আল মামুন শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের ছেলে। সে বরমী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন বরমী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুরাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ সাত বছর বরমী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। মামুন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। চক্রান্ত করে কোনও এক স্বার্থান্বেষী মহল তাকে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আসামি করেছে।’
ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফ হায়দার মৃধা বলেন, ‘মামুন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। মামলার এজাহারে গাড়ি ভাঙচুরের যে সময় দেখানো হয়েছে ওই সময় সে আমার বাসায় ছিল। আমরা শান্তি সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিলাম। সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি আপার সমর্থনে সে আমার সঙ্গে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চারটি কর্মসূচিতে অংশ নেয়।’
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আমজাদ পণ্ডিত ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ খন্দকার জানান, মামুনের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘রবিবার (৫ নভেম্বর) সকালে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি এমপির (সংরক্ষিত নারী আসন-১১৪) সমর্থনে যুবলীগ নেতা শরিফ হায়দারের নেতৃত্বে শান্তি মিছিলে অংশ নিই। ওই দিন মধ্যরাত পর্যন্ত তার সঙ্গেই ছিলাম। শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুরের মামলার আমাকে ১৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে।’
মামলার বাদী তাকওয়া পরিবহনের মালিক স্বপন আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মো. নাসিম বলেন, ‘বাদীর লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়েছে। তিনি এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তাদের আসামি করেই মামলা হয়েছে। তদন্তের পর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া না গেলে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।’