টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও তার ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকী। এর মধ্য দিয়ে দুই ভাই একই আসন থেকে নির্বাচন করছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহাদাত হুসাইনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা।
লতিফ সিদ্দিকী কালিহাতী আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই সময়ে মন্ত্রীও হয়েছেন। হজ নিয়ে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর পদ হারান লতিফ সিদ্দিকী। পরে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়েন এবং সব শেষে দল থেকে বহিষ্কার হন। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক অনুষ্ঠান থেকে দূরে সরে যান। আসন্ন নির্বাচনের কয়েক মাস আগে কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে একমঞ্চে উঠেন লতিফ সিদ্দিকী। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। সম্প্রতি নির্বাচনি প্রচারণায় নেমেছেন।
এদিকে, ১৯৯৯ সালে কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেন। কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে তখন মুরাদ সিদ্দিকীও ওই দলে যোগ দেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মুরাদ সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। ২০০৯ সাল থেকে মুরাদ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ২০১৫ সালে তার সহযোগী অনেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। কিন্তু মুরাদ সিদ্দিকী বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সমর্থকদের নিয়ে অংশ নিয়েছেন।
সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে প্রবেশের জোর লবিং করেও ব্যর্থ হন। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি। পরে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মুরাদ সিদ্দিকীর সমর্থকরা ধারণা করছেন, শেষ পর্যন্ত তিনি টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুর রশীদ।
অপরদিকে, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকী। কিন্তু দলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ১৯৯৯ সালে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নিজ দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত নির্বাচনে তার মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী এই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান।