ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদ্যঘোষিত সমন্বয় কমিটি থেকে মাত্র দুই দিনের মাথায় দুই নেতা পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার (৬ জুন) বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পৃথক স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেদের পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।
পদত্যাগকারীরা হলেন—ভাঙ্গা উপজেলা এনসিপির ১৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সদস্য রিফাত আতিক এবং সাজ্জাদ খান।
গত ৪ জুন (বুধবার) এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ভাঙ্গা উপজেলা সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
কমিটিতে মো. আশরাফ শেখকে প্রধান সমন্বয়কারী, দুজনকে যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং ১৪ জনকে সাধারণ সদস্য হিসেবে রাখা হয়। এই কমিটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ মাস বা উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত।
রিফাত আতিক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘সদ্যঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভাঙ্গা উপজেলা সমন্বয় কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় এবং সজ্ঞানে পদত্যাগ করছি। আমি কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী নই। আমি একটি সরকারি প্রকল্পে কর্মরত এবং আমার পরিবারের সদস্যরাও সরকারি চাকরিতে যুক্ত। আমার সম্মতি ছাড়াই কমিটিতে নাম রাখা হয়েছে, যা জানার পরই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিই।’
কমিটির অপর পদত্যাগকারী সাজ্জাদ খান বলেন, ‘আমি ফরিদপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন কর্মী। সদ্যঘোষিত এনসিপি কমিটিতে ত্যাগী ও আন্দোলনকর্মীদের বাদ দিয়ে সুযোগসন্ধানীদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিকে আমি বয়কট করেছি এবং অনুরোধ করছি আমার নাম কমিটি থেকে বাদ দিতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভাঙ্গার আন্দোলনে যারা মাঠে ছিল, তাদের না রেখেই একটি কমিটি করা হয়েছে। এতে প্রকৃত নেতাকর্মীদের মর্যাদা দেওয়া হয়নি। আমি সেই কারণেই পদত্যাগ করেছি।’
এ বিষয়ে এনসিপির ফরিদপুর জেলা সমন্বয় কমিটির অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘তারা (রিফাত আতিক ও সাজ্জাদ খান) ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন। কেউ যদি রাজনীতি করতে না চায়, সেটি সম্পূর্ণ তার নিজস্ব ব্যাপার। তবে ভবিষ্যতে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আমরা আরও সতর্ক হবো।’