মোবাইলে তালাকের খবর পেয়েই প্রিয়া খাতুন (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় মামালা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বাঘারপাড়া থানায় মামলাটি করেছেন নিহতের বাবা ইদ্রিস আলী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঘারপাড়া থানার এসআই তরুণ কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আত্মহত্যায় প্ররোচণা ও এতে সহায়তার অভিযোগে ৩০৬ ও ১০৯ ধারায় চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর-২/ ১০.০১.১৭।
মামলায় আসামিরা হলেন- প্রিয়ার স্বামী পুলিশের এএসআই রাকিব হাসান, রাকিবের বাবা আব্দুর রাজ্জাক, মা আনোয়ারা বেগম এবং ভাই মুকুল।
তিনি আরও জানান, মামলা দায়েরের পর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলার প্রধান আসামি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন টেলিকমে কর্মরত এএসআই রাকিব হাসানের ব্যাপারে বুধবার সেখানে সংবাদ পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, মোবাইলে তালাকের খবর পাওয়ার পর গত ৮ জানুয়ারি রবিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার চেচুয়াখোলা গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে প্রিয়া খাতুন আত্মহত্যা করেন। পরদিন বেলা ১২টার দিকে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
/এআর/