X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

আজ বাগেরহাট মুক্ত দিবস

বাগেরহাট প্রতিনিধি
১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:৪২আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:৪৬

আজ বাগেরহাট মুক্ত দিবস আজ ১৭ ডিসেম্বর বাগেরহাট মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীনতা যুদ্ধের চুড়ান্ত পরিণতির দিকে এগোতে থাকে বাঙালি জাতি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাকিস্তানি হানাদার ও তার দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনী পরাজিত হয়ে পিছু হটতে থাকে। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় রেসকোর্সে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও বাগেরহাট হানাদার মুক্ত হয় এক দিন পর ১৭ ডিসেম্বর।

রাজাকার-আলবদর বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা পাকিস্থান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী এ.কে.এম. ইউসুফের জন্মস্থান বাগেরহাটে হওয়ায় তখনও বাগেরহাট ছিল রাজাকার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। রাজাকার এ.কে.এম. ইউসুফের দোসর খুলনা অঞ্চল প্রধান রাজাকার রজব আলী ফকিরের নেতৃত্বে বাগেরহাটে তখনও ব্যাপক লুটপাট ও মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা ও নির্মম নির্যাতন অব্যাহত ছিল।

বাগেরহাট পানিউন্নয়ন বোর্ড (মদনের মাঠ) ছিল রাজাকারদের ক্যাম্প। বর্তমান জেলা পরিষদ ডাকবাংলো ছিল রাজাকারদের বিচারালয় আর মাঠ ছিল টর্চার সেল। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকাসহ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাগেরহাটের মুক্তিযোদ্ধারা উদগ্রীব হয়ে পড়ে। তারা শহর দখলের পরিকল্পনা করে। ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে বাগেরহাট শহরের ডাকবাংলোতে অবস্থিত রাজাকারদের ক্যাম্প দখল করে সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো হয়। এইদিন সকালে জেলার চিতলমারীর সন্তোষপুরে অবস্থিত বাগেরহাট সাবসেক্টরের হেডকোয়ার্টার থেকে সাবসেক্টর কমান্ডার তাজুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধাদের ফল-ইন করিয়ে মোট দুটি গ্রুপে ভাগ করে বাগেরহাট শহরের দিকে রওনা হন। তাজুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বড় দলটি মুনিগঞ্জ খেয়া পার হয়ে বাগেরহাটে আসে। অন্যদিকে ছোট দলটিকে সুলতানপুরের পথে বাগেরহাট মাঝিঘাট দিয়ে নদী পার করানো হয়। দ্বিতীয় দলের নেতৃত্ব দেন কমান্ডার রফিকুল ইসলাম খোকন ও সৈয়দ আলী।

বাগেরহাট সদর থানায় রাজাকার ক্যাম্পে অবস্থানরত রাজাকার-আল বদর ও পাকিস্থানী বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সাড়াসি আক্রমণের মুখে রাজাকার রজব আলী ফকিরের নেতৃত্বে হানাদাররা পাকিস্থানী পতাকা নামিয়ে পালিয়ে যায়।
১৭ ডিসেম্বর দুপুরে বাগেরহাট শত্রু মুক্ত হয়। বিজয়ের আনন্দে শহরবাসী সাধারণ মানুষ উল্লাস ও আনন্দে ফেটে পড়ে। মুক্তিকামী জনতাকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
বাগেরহাট শহর মুক্তি শমরে অংশ মুক্তিযোদ্ধা নকীব সিরাজুল হক বলেন,‘১৭ ডিসেম্বর দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত আক্রমণের মুখে রাজাকার রজব আলী বাহিনীর সদস্যরা কেউ কেউ পালিয়ে যায় আর বাকিরা আত্মসমর্পণ করে। সমগ্র বাগেরহাট মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে। ১৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা বর্তমান স্বাধীনতা উদ্যান এলাকায় ওড়ানো হয়।’

/এসএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি
অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি
ধানমন্ডিতে ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মী আহত 
ধানমন্ডিতে ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মী আহত 
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা