১১ দফা দাবিতে সোমবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটে শুরু হওয়া নৌযান (কার্গো, কোস্টার) শ্রমিকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। ফলে সোমবার মধ্যরাত থেকে মোংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহনের কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তি ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের মোংলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ননের মোংলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মামুন হাওলাদার বাচ্চু জানান, ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এজন্য মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল ও মোংলা নদীতে পণ্য বোঝাই ও খালি কার্গো-কোস্টার জাহাজগুলো অলস সময় পার করছে। নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহন কাজও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া মোংলা বন্দরের সঙ্গে নদী পথে দেশের বিভিন্ন নৌ বন্দরের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে মোংলা বন্দরের আমদানি-রফতানিকারকরা।
বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও ডাকাতি বন্ধ, ২০১৬ সালের ঘোষিত বেতন স্কেলের পূর্ণ বাস্তবায়ন, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান ও হয়রানি বন্ধ, নদীর নাব্যতা রক্ষা, নদীতে প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপনসহ ১১ দফা দাবিতে সোমবার রাত ১২টা ১মিনিট থেকে মোংলা বন্দরসহ সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকেরা। সারাদেশের প্রায় ২০ হাজার নৌযানের ২ লাখ শ্রমিক এ কর্মবিরতি পালন করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম পটল।
তিনি বলেন, ‘নৌযান শ্রমিকদের আন্দোলন বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে। কেউ কোন ধরনের অপপ্রচারে কান দেবেন না।’