বিজয়া দশমীর রাতে স্পিরিটের সঙ্গে মদ মিশিয়ে খেয়েছিলেন খুলনার রূপসা উপজেলার ইন্দ্রানী বিশ্বাস, পরিমল ও দীপ্ত। এরপর বাইরে ঘোরাফেরা করেন তারা। পরে বাসায় ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।এমনটাই জানিয়েছেন মাদক দ্রব্য অধিদফতর খুলনার তদন্ত টিমের সদস্য পরিদর্শক হাওলাদার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) তদন্ত কমিটি গঠনের পরই তারা রূপসা উপজেলার রাজাপুর এলাকায় ইন্দ্রানীর বাসায় যান। ইন্দ্রানী বাড়িতে একাই থাকেন। তার স্বামী ইতালি প্রবাসী। মা ও ভাই থাকেন ভারতে। পরিমল ও দীপ্ত তার প্রতিবেশী।
তিনি বলেন, বিজয়া দশমী উপলক্ষে আনন্দ উৎসবের অংশ হিসেবে পরিমল ও দীপ্ত রাতে ইন্দ্রানীর বাসায় আসেন। সেখানে তারা একত্রে স্পিরিট মিশ্রিত মদ পান করেন।
ইন্দ্রানীর প্রতিবেশী বৃষ্টির বরাত দিয়ে তদন্ত কমিটির এ সদস্য জানান, তিন জন মদ পানের পর জোরে সাউন্ড দিয়ে গান শোনেন। এরপর তারা বাইরে ঘুরতে বের হয়। বাইরে থেকে আসার পর ইন্দ্রানী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সরেজমিন তদন্তকালে ইন্দ্রানীর বাসা থেকে ভারতীয় মদের খালি বোতল পাওয়া গেছে। তারা পরিমল ও দীপ্তর বাসাও পরিদর্শন করেছেন।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত টিম বৃহস্পতিবার মহানগরীর গল্লমারীতে অবস্থিত প্রসেনজিত ও তাপস দাসের বাসাও পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন। ওই দু’জনও বাইরে থেকে মদ খেয়ে থেকে বাসায় এসেছিলেন। বাসায় আসার পর দুজনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে, তারা কোথায় মদ খেয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, বিজয়া দশমীর (৮ অক্টোবর) রাতে খুলনার বিভিন্ন এলাকায় মদ্যপানে লোকজন অসুস্থ হতে থাকে। এরপর তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৯ জন মারা যায়। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর খুলনা এ ঘটনা নিয়ে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটিকে রবিবার (১৩ অক্টোবর) মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।