‘আমি একেবারে শেষ হয়ে গেছি। ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দোকান দিয়েছি। আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেলো’—এভাবে বিলাপ করছিলেন মোংলার চটেরহাট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মো. ইস্রাফিল।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের চটেরহাট বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে মুদি দোকান পুড়ে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইস্রাফিল। অগ্নিকাণ্ডে আরও দুটি দোকান পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিন ব্যবসায়ী।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আধা ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসেন। এতে একটি মুদি দোকান, তুলার গোডাউন ও একটি গো-খাদ্যের দোকান পুড়ে গেছে। তবে আগুনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মুদি দোকানি ইস্রাফিল।
তিনি বলেন, ‘আগুনে পুড়ে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। একদিকে পুড়েছে, অন্যদিকে আগুন নেভানোর পানিতে ভিজে সব মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। আমার ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
পাশাপাশি মনতাজের তুলার গোডাউন ও মাসুমের গো-খাদ্যের দোকান পুড়ে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দুই ব্যবসায়ী।
মোংলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সিগারেটের আগুন থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। যে কারও ফেলে যাওয়া সিগারেটের আগুন তুলার গোডাউনে লেগে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকে পাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি আমরা।’