৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টা। বাগেরহাট পৌরসভাধীন হরিণখানা এলাকায় পিসি কলেজ সড়কের পাশে অপেক্ষা করছিলেন দুই বোন। এসময় দুই যুবক একটি নীল ও সাদা রঙের অ্যাপাচি মোটরসাইকেল যোগে সেখানে আসেন। এসময় অপেক্ষমাণ এক বোনের গলায় থাকা আনুমানিক ১ ভরি ৭ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন (লকেটসহ) টান দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় হতবিহ্বল ওই নারী পরে বাগেরহাট জেলার সদর থানায় এবং র্যাব-৬, খুলনা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) এর একটি অভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১১ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১০টার সময় গোপালগঞ্জ পৌরসভাধীন সদর থানা এবং টুঙ্গিপাড়া থানা এলাকায় প্রায় ১০ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালায়।
অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। সংস্থাটি বলছে, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা হলো- বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শিবপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিন (২৬) ও মো. আব্দুল আহাদ (২০), গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার দাবিয়া কুল গ্রামেট বিবেক বৈরাগী (৪২) এবং সরদার পাড়ার আলিম শেখ (২২)।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার লবনচরায় র্যাবের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাব-৬ এর পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোসতাক আহমদ।
তিনি জানান, ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা গ্রেফতারকৃত আসামি মো. রুহুল আমিনের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি দেশীয় পিস্তল (ওয়ান শ্যূটার গান), একটি মোটরসাইকেল, নগদ ৩ হাজার ১০০ টাকা, একটি মোবাইল ফোন এবং তার অন্যতম সহযোগী মো. আব্দুল আহাদ কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি চাকু, নগদ ৪১ হাজার ৭৮০ টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এক নম্বর আসামি রুহুল আমিন এবং দুই নম্বর আসামি আব্দুল আহাদ জানিয়েছে, তারা চার নম্বর আসামি আলিম শেখের সহযোগিতায় ছিনতাইকৃত স্বর্ণ মেসার্স মা জুয়েলার্সের মালিক তিন নম্বর আসামি বিবেক বৈরাগীর কাছে বিক্রি করে।
পরবর্তী সময়ে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া থানাধীন পাটগাতী বাজারে অবস্থিত মেসার্স মা জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকৃত ১ ভরি ৭ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের গোপালগঞ্জ সদর এবং বাগেরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।