বাস শ্রমিকদের মারধর ও গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুর ও খুলনা রুটে বাস ধর্মঘট চলছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পরিবহন নেতাদের বৈঠক শেষে এ দুই রুটে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। হঠাৎ ধর্মঘট হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুর ও খুলনা রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, ঝিনাইদহ মোটর শ্রমিক নেতারা বাসের নতুন ট্রিপ চাচ্ছেন। এটা নিয়েই দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আলোচনায় বসা হয়। কিন্তু গত বুধবার বাস শ্রমিকদের মারধর ও গাড়ি ভাংচুর করে শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। এর প্রতিবাদে বাস শ্রমিক-মালিক গ্রুপ উভয় মিলে বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
মো. সোলাইমান হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে খুলনা যেতে হবে। সকালে এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ। এখন খুলনা যাওয়ার জন্য বিকল্প চিন্তা করতে হচ্ছে। হঠাৎ বাস বন্ধ করায় সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগ পড়েছেন।’
মেহেদী হাসান নামে এক যাত্রী বলেন, ‘বৃদ্ধ মাকে নিয়ে এসেছি ফরিদপুর যাওয়ার জন্য। স্ট্যান্ডে এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ। জনসাধারণকে জিম্মি করে এসব ধর্মঘট করা অযৌক্তিক।’
কুষ্টিয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘পরশুদিন ঝিনাইদহ শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন গাড়ি ভাঙচুর ও বাস শ্রমিকদের মারধর করে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুর ও খুলনা সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আগামী ১০ এপ্রিল কুষ্টিয়া থেকে সব রুটে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।’