ঘূর্ণিঝড় হামুন উপকূল অতিক্রম করলেও সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের মোংলার উপকূলীয় এলাকায় কোনও প্রভাব পড়েনি। ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে দুর্বল অবস্থায় কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। শঙ্কা কেটে যাওয়ায় মোংলা সমুদ্র বন্দরে জারি থাকা ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এর আগে মঙ্গলবার এই সমুদ্র বন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়। এর ফলে সুন্দরবন উপকূলীয় মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপংকর দাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবারসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কোনও আলামতই এখানে তৈরি হয়নি। মঙ্গলবার এটি কক্সবাজার অতিক্রম করায় পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত হয়েছে এ এলাকার মানুষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হলেও বন্দরে অবস্থানরত ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজের কাজ বন্ধ রাখা হয়নি। কারণ ঝড়ের কোনও আলামত দেখা যায়নি।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, হামুন মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে এবং এটি দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে এখানে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।