দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। ভোটকে সামনে রেখে গণসংযোগে ব্যস্ত প্রার্থীরা। শহর থেকে গ্রাম— সব জায়গায় প্রচারণা এখন তুঙ্গে। ভোটারদের আস্থা অর্জনের চেষ্টায় রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা শোনাচ্ছেন আশ্বাসের কথা। দলীয় নির্বাচনি ইশতেহারের পাশাপাশি প্রত্যেক প্রার্থী নিজ এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নকাজের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে দলীয় ইশতেহারসহ ১০টি বিষয় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন খুলনা-৩ আসনে প্রথমবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া এস এম কামাল হোসেন। এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। ভোটকে সামনে রেখে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটছে তার। জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের।
এস এম কামাল হোসেনের ১০ প্রতিশ্রুতি
১. খুলনাকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা।
২. মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ও জঙ্গি নির্মূল করা।
৩. যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অবকাঠামো নির্মাণ।
৪. বেকারত্ব নিরসনে শিল্পকারখানা স্থাপন।
৫. বন্ধ হওয়া শিল্পপ্রতিষ্ঠান নতুন আঙ্গিকে চালু করার চেষ্টা করা হবে।
৬. শান্তিপূর্ণ এবং গ্রুপিংমুক্ত নির্বাচনি এলাকা গড়ে তোলা।
৭. তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৮. কৃষক-শ্রমিকদের উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ।
৯. প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
১০. আওয়ামী লীগের দলীয় ইশতেহার বাস্তবায়ন।
খুলনা-৩ আসন মূলত খালিশপুর-দৌলতপুর ও খানজাহান আলী এলাকা নিয়ে গঠিত। রাজনীতির শুরু থেকে এসব এলাকার প্রত্যেক ঘরে গিয়েছি জানিয়ে এস এম কামাল বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করছি। খালিশপুর-দৌলতপুর ও খানজাহান আলী এলাকার প্রত্যেকের ঘরে ঘরে গিয়েছি; কখনও ভোটের জন্য, কখনও মানুষের উপকারের জন্য, কখনও দলের নেতাকর্মীর জন্য। এসব এলাকার প্রতিটি ঘর আমার চেনা, মানুষগুলো পরিচিত এবং আত্মীয়ের মতো। এটি শ্রমিক-অধ্যুষিত এলাকা। বেশিরভাগ শ্রমিকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আছে। কাজেই শ্রমিকবান্ধব এমপি হতে চাই, যাতে শ্রমিকদের মধ্যে আগামীতে কোনও ধরনের ক্ষোভের সঞ্চার না হয়। এজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেবো। যে বিশ্বাস আর আস্থা রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, আমিও সেই বিশ্বাস এবং আস্থার প্রতি যথাযথভাবে সততার সঙ্গে কাজ করতে চাই।’