সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং অবৈধভাবে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরার নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সোমবার (২৯ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপ-পরিচালক আল আমিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৮ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং অবৈধভাবে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক নিজে ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও (২৭(১) ধারায় মেয়র আঞ্জুমান আরা শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন।
মেয়রের নামে মামলার তথ্য বুধবার নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপ-পরিচালক আল আমিন।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আঞ্জুমান আরা ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি নড়াইল পৌরসভার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ তিনি দুদকে সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে আঞ্জুমান আরা তার স্থাবর ও অস্থাবর ও নগদ অর্থ বাবদ মোট ৮৩ লাখ ৫৭ হাজার ২১২ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য ঘোষণা করেন। পরে যাচাইকালে মেয়রের সর্বমোট এক কোটি ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯১০ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য পায় দুদক।
মেয়র আঞ্জুমান আরার নামীয় আয়কর নথি (২০২১-২০২২ করবর্ষ হতে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত) পর্যালোচনায় তার পৌর নির্বাচনি ব্যয়সহ পারিবারিক ব্যয় পাওয়া যায় ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। উক্ত পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের মূল্য এক কোটি ২৮ লাখ ৯৫ হাজার ৯১০ টাকা। আয়কর নথি ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র অনুযায়ী আঞ্জুমান আরার মোট গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ হচ্ছে এক কোটি ১৪ লাখ সাত হাজার ৩৭৬ টাকা। সে মোতাবেক অভিযুক্ত আঞ্জুমান আরার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ হচ্ছে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩৪ টাকা।
এ বিষয়ে আঞ্জুমান আরা বলেন, আমি আমার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের কোনও তথ্য গোপন করিনি। আয়কর বিবরণীতে আমার সম্পদের বিস্তারিত সঠিক বিবরণ উল্লেখ করা আছে।