সাতক্ষীরার দেবহাটার সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ বই বিক্রির পর নিয়ে যাওয়ার সময় আটকে দেন স্থানীয়রা। পরে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিক্রিত বই স্কুলে ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন এক ক্রেতা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যার সময় সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ বই বিক্রি করেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক তহিরুজ্জামান। উক্ত বই ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্রেতাকে আটকে দেন স্থানীয় ছাত্রজনতা। এসব বই অনুমতি ছাড়া বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে প্রধান শিক্ষক বইগুলো বিক্রি করে দেন সাতক্ষীরার এক ব্যবসায়ীর কাছে। কমিটি বা কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে দুই ভ্যান বই বিক্রি করেন। একের পর এক যখন রাতের আঁধারে বিদ্যালয় থেকে বই বোঝাই ভ্যান বের হতে থাকে তখন তাদের সন্দেহ হয়। পরে সখিপুর কলেজ মোড়ে এসে একটি ভ্যানের গতিরোধ করে জিজ্ঞাসা করলে গোপনে বই বিক্রির বিষয়ের সত্যতা মেলে। ততক্ষণে বাকি ভ্যানভর্তি বই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে সক্ষম হয়। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানান উপস্থিত ছাত্রজনতা। এরপর ওই ভ্যানভর্তি বই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন চত্বরে আনা হলে সেখানে খবর পেয়ে হাজির হন একাধিক অভিভাবক।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বইগুলো দেবহাটা থানা পুলিশের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন। পরদিন শুক্রবার উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ও দেবহাটা থানার ওসির উপস্থিতিতে বইগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়। এ সময় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বইগুলো বাছাই করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি শোনার পর একাডেমিক সুপারভাইজার ও থানার ওসির মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বইগুলো ফেরত দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছি।
এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শনিবার সকাল ১০টায় সখিপুর মোড়ে প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।