গতবারের চেয়ে চলতি বছর এসএসসিতে যশোর বোর্ডের পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বেশ কমেছে। এ বছর পাসের হার ৭৩.৬৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪১০ জন। কিন্তু গত বছর পাসের হার ছিল ৯২.৩৩ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৭৬১।
গত বছরের জুলাইয়ে দেশব্যাপী গণ-অভ্যুত্থানের কারণে এই ফলাফলে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে যশোর শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণাকালে বোর্ড কর্তৃপক্ষ এই তথ্য দেন।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ আসমা বেগম দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
চলতি বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ২ হাজার ৫৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ২ হাজার ৩১৯ জন। যার মধ্যে ছেলে ৪৬ হাজার ৫৮৭ ও মেয়ে ৫৫ হাজার ৭৩২ জন।
পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী ৩৬ হাজার ১৭৭ জন, মানবিক বিভাগের ৫৩ হাজার ৮৩১ জন ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী ১২ হাজার ৩১১ জন।
এ বছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমের কারণ হিসেবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের কারণে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঠিকমতো ক্লাস হয়নি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরাও পড়ার টেবিলে হয়তো মনোনিবেশ করতে পারেনি। তা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের “অন্যকিছু” ভাববার অবকাশ ছিল না।’ এসব কারণে ফলাফলে কিছুটা প্রভাব ফেলতেও পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
চলতি বছর অঙ্ক ও ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা একটু খারাপ করেছে বলে তিনি জানান। অন্যান্য বিষয়ে ৯০ শতাংশের ওপরে পাস করলেও এবার ইংরেজি ও অঙ্কে শিক্ষার্থীরা ৮৫ শতাংশ পাস করেছে।
তিনি জানান, এ বছর ৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ ছেলে-মেয়ে পাস করলেও শতভাগ ফেল করেছে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শতভাগ ফেল দুটি প্রতিষ্ঠান হলো- নড়াউলের মুলাদি তালতলা সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল এবং মোড়েলগঞ্জের নামালখালী গার্লস হাইস্কুল। উভয় প্রতিষ্ঠান থেকে একজন করে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর সবচেয়ে বেশি পাস করেছে যশোর জেলা, এখানে পাসের হার ৭৯.০৭ এবং সবচেয়ে কম পাসের জেলা হচ্ছে মেহেরপুর, পাসের হার ৬২.৭০ শতাংশ।
ফলাফল ঘোষণাকালে চেয়ারম্যান, প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর মাহবুবুর রহমান, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর তৌহিদুর রহমান, বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. কামরুজ্জামান, সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট জাহাঙ্গীর কবির প্রমুখ।